বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ,
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বঞ্চনার শিকার হতে থাকে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালিরা তাদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হয়।

১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের সরকার গঠনকে বাধাগ্রস্ত করে। যার ফলে, বারবার বহু আলোচনা করেও সরকার গঠন করতে পারেনি। পরবর্তীতে, ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।  এর ফলশ্রুতিতে   ২৫ শে মার্চের মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এতে লাখ লাখ বাঙালি নিহত হয়। যুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নেয়। দীর্ঘ নয় মাস পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৯৩০০০ সৈন্য নিয়ে আত্ম-সমর্পন করে।

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখেরও বেশি বাঙালি শহীদ ও দুই লাখেরও বেশি নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বাঙালি জাতি তাদের হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ফেলে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এবং এ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি তাদের হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ফেলে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এ যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি বিশ্ববাসীর কাছে তাদের সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ঘটনাসমূহ:

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমপর্পণ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটে। 

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ | From 1947 to 1971, From Pakistan to Bangladesh

সাতই মার্চের ভাষণ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী, ভারতীয় ও বাংলাদেশী বাহিনীর যুগ্ম কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপ সেনাপ্রধান, এয়ার কমোডর এ কে খন্দকার আত্মসমর্পণে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *