আফজল খান জালুয়াপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

আফজল খান জালুয়াপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটি সুন্দর পটভূমি আছে। অত্র বিদালয়টি কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলা ৫ নং পাঁচথুবী ইউনিয়ন পরিষদ-সংলগ্ন অবস্থিত। ফিরে আসা যাক বিদ্যালয়ের ইতিহাস থেকে। সময় ৯০ এর দশক,  অত্র অঞ্চলে নারী শিক্ষার জন্য বালিকাদের স্বতন্ত্র কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিলনা। এরই ফলশ্রুতিতে, অত্র ইউনিয়নের অভিভাবকগণ ও গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ তাদের মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তি হওয়ার পর তাদের মেয়েদেরকে আর্থ-সামাজিক কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখা পড়া অধ্যিয়নের সুযোগ করে দিতে পারত না। এলাকার আপময় জনসাধারণের- পক্ষে কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, সমাজ সেবক, ব্যাবসায়ীবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, কৃষক হতদরিদ্র জনতা সকলে মিলে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কারণ নারীদের অশিক্ষিত রেখে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। অতপর স্থানীয় এ সকল ব্যক্তিবর্গ অধ্যক্ষ আফজল খান এডভোকেট সাহেবের নিকটে যান এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য একটি মাধ্যমিক বালিকা প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেন। অতঃপর উপস্থিত- সকলকে এইা মহান ব্যক্তি অধ্যক্ষ আফজল খান বলেন, আমি আপনাদের এলাকায় মাধ্যমিক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দিব। এজলাশের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একথা শুনে আশস্থ হয়ে ফিরে আসেন।
অতঃপর অধ্যক্ষ আফজাল খান সাহেব ১৯৯১ সালে এলাকার গন্যমান্য ‘ব্যক্তিবর্গের প্রস্তাবে আফজল খান জানুয়াপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই- এলাকার সকল জনগন আফজল খানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এবং বর্তমানে বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে এবং বিগত JSC ও SCC বোর্ড পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। তাছাড়া পাঠপুস্তক শিক্ষা লাভের পাশে সহ শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম যেমন দৈনিক সমাবেশ, শিক্ষাসফর, উপাজনা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিজ্ঞেশীত সহ সকল পর্যায়ে সুনামের সহিত ‘অংশগ্রহন করে যাচ্ছে ফলে এসকল ছাত্রীর। দেশের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে পারেন যা অত্র অঞ্চেলের জন্য একটি গর্বের বিষয়।

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অত্র এলাকার নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে নিম্নলিখিত অবদান রেখেছে:

১। বিদ্যালয়ের মাধ্যমে অত্র এলাকার মেয়েদের শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

২। বিদ্যালয়ের মাধ্যমে অত্র এলাকার মেয়েদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

৩। বিদ্যালয়ের মাধ্যমে অত্র এলাকার মেয়েরা সমাজে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছে।

বিদ্যালয়টি অত্র এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে নিম্নলিখিত অবদান রেখেছে:

১। বিদ্যালয়ের মাধ্যমে অত্র এলাকার শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

২। বিদ্যালয়ের মাধ্যমে অত্র এলাকার শিক্ষার প্রসার ঘটেছে।

৩। বিদ্যালয়ের মাধ্যমে অত্র এলাকার শিক্ষার গুণগতমান উন্নত হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *